পুর ভরা পটল ভাজা
পুর ভরা পটল ভাজা; এটি একটি নিরামিষ রেসিপি। পটলের নানা ধরনের রেসিপি হয়তো এর আগে অনেক খেয়েছন ,কিন্ত এই মজদার পটল ভাজা যদি এর আগে না খেয়ে থাকেন আজই বানিয়ে ফেলুন। খুবই টেস্টি হয় খেতে। এটা অবশ্যই গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করতে পারেন।
উপকরনঃ-
পটল ৩ টি
পরিমাণ মতো নুন
হলুদ গুঁড়ো
সরষের তেল
নারকেল বাটা ২ চামচ
পোস্ত বাটা ২ চামচ
চিনি সামান্য
কাঁচা লঙ্কা বাটা
বেসন
কি ভাবে বানাবেন এই পুর ভরা পটল ভাজা?
প্রণালিঃ-
প্রথমে পটল গুলোর গা চেঁচে দুধার কেটে ফেলে দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পটল গুলো দু ভাগ করতে হবে। এবার একটা চামচ এর সাহায্য পটলের বীজ আর শাঁস বের করে নিতে হবে। খুব সহজেই কিন্তু বের হয়ে যার। সব পটল থেকেই কিন্তু বীজ আর শাঁস বের করে নিতে হবে।
এবার পটল গুলোতে পরিমাণ মতো নুন আর সামান্য হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিতে হবে। হাত দিয়ে পটলে নুন আর হলুদ টা ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।
আর পটলের বীজ আর শাঁস মিক্সিতে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। বীজ আর শাঁস যেহেতু কম, পেস্ট বানাতে আসুবিধা হতে পারে, তাই জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
এরপর পুর বানানোর জন্য পাত্র গরম করে তেল দিতে হবে। তেল গরম হবে এক এক করে দিয়ে দিতে হবে নারকেল বাটা, পোস্ত বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা ( কাঁচা লঙ্কা বাটা অবশ্যই ঝাল বুঝে দিতে হবে ), দিয়ে দিতে হবে পরিমাণ মতো নুন, স্বাদ মতো চিনি, সামান্য হলুদ গুঁড়ো আর দিয়ে দিতে হবে পটলের বীজ আর শাঁস বাটা। আমি এখানে আলাদা আলাদা উপকরণ গুলো বেটেছি, তো আপনারা চাইলে একসাথে বেটে নিতে পারেন।
এবার এই সব উপকরণ ভালো ভাবে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে, যাতে পটলের কাঁচা গন্ধ টা চলে যায়।
সব উপকরণ নাড়াচাড়া হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।
এরপর এই পুর চামচ দিয়ে পটলে ভরে নিতে হবে। ভালো ভাবে চেপে দিতে হবে। পুরের ওপরে ছড়িয়ে দিতে হবে অল্প বেসন । বেসন দিলে পটল ভাজা টা খেতে ভালো হয়, তা ছাড়া পুর বেড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। তবে বেসন কিন্তু বেশি দেওয়ার দরকার নেই। একিভাবে সর কটা পটলে পুর ভরে নিতে হবে।
এরপর এই পুর ভরা পটল ভাজবার জন্য কড়াই গরম করে তেল দিতে হবে।
তেল গরম হলে এক এক করে পুর ভরা পটল দিয়ে দিতে হবে। একপিঠ হলে উল্টে দিতে হবে। দুপিঠই কিন্তু উল্টে পাল্টে লাল করে ভেজে নিতে হবে।
পটল ভাজা হলে তুলে নিন। তৈরি হয়ে গেল পুর ভরা পটল ভাজা।